বিডিপি নিউজ ডিস্ক :
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম স্মৃতি পুরস্কার গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান করা হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার হাতে পদকটি তুলে দেন ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উপদেষ্টা টি পি শ্রীনিবাসন ও সংস্থাটির চেয়ারপারসন দীনা দাস।
এসময় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকলে উন্নয়ন করাটা সহজ হয়। আমরা সবসময় বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গত এক দশকে অনেক উঁচুতে পৌঁছেছে। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক অগ্রগতি হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘ভারত সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছিটমহল বিনিময় ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ভারত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা নজিরবিহীন।’
বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ইচ্ছা ছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আর এ জন্য তিনি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এ দেশের মানুষের কথা মনে করেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তার কথায় এ দেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। আমাদের চেয়েও (সন্তানদের) তিনি মানুষকেই বেশি ভালোবেসেছেন।’
দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০১৯ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলারে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক এক শতাংশ। এটাকে ১০-এ নিয়ে যেতে চাই। দেশের দারিদ্র্য এখন ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যেতে চাই। ২১০০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়, এ লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘমেয়াদি এসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য আজ আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারছি। খাদ্যের পর মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের জন্য আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।’
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা, দেশের জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা বিশেষত নারী ও শিশুদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
Leave a Reply