বিডিপি নিউজ ::
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য এডিএন টেলিকমের বিডিং চলছে। গত ৫ এপ্রিল বিকেল ৫টায় কোম্পানিটির বিডিং শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে ৬০টি ক্রয় প্রস্তাব পড়েছে। এর মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার ১৬ টাকায় ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে সর্বোচ্চ বিডার। বিবিএস বাংলাদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রথম ৪২ ঘন্টার বিডিং শেষে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে ক্রয়প্রস্তাব দিয়েছে ৬০ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে ২০ জন বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার ১৬ টাকায় ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে। ১২ জন বিনিয়োগকারী ১৫ টাকায় ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়ে বিডিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এদিকে, ১১ জন বিনিয়োগকারী ২০ টাকায় শেয়ার ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ক্রয়ে আগ্রহ দেখেয়েছে ২ জন বিডার। এছাড়া ২৫ টাকায় ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে ৮ জন বিডার। আগামী ৮ নভেম্বর বিকেল ৫টায় বিডিং কার্যক্রম চলবে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।
কোম্পানি প্রসপেক্টাস সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫৭ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা দিয়ে কোম্পানিটি ভৌত কাঠামো উন্নয়ন, ডেটা সেন্টার স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও সংক্রান্ত খরচ হিসাবে ব্যয় করবে।
বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টর) অংশ নেবে। তারা কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার কেনার জন্য বিডিং করবে। একজন বিডার সর্বোচ্চ ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিডিং করতে পারবে। প্রতি ১০০ শেয়ারে মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে এডিএন টেকনোলজির কাছে ০.৪৫ শতাংশ, এডিএন টেলিকম এম্প্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের কাছে ০.৪৫ শতাংশ, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সের কাছে ৪.৩১ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের কাছে ১.৫৬ শতাংশ, এরশাদ সিকিউরিটিজের কাছে ০.৪৫ শতাংশ, খাজা ইক্যুইটির কাছে ০.৬৭ শতাংশ, পার্কওয়ে সিকিউরিটিজের কাছে ০.৪৫ শতাংশ এবং ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কাছে ২.৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি মূল ব্যবসা বিভিন্ন করপোরেট অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের কাছে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া।
কোম্পানিটি দুটি এসোসিয়েট কোম্পানিতে মোট ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৫ টাকা বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে মাইটেল লি. এর ৩২ শতাংশ শেয়ার এবং ম্যানেজওয়েল কমিউনিকেশন লি. এর ৪০ শতাংশ শেয়ার এডিএন টেলিকমের কাছে রয়েছে।
৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোম্পানিটির ব্যবসা থেকে মোট আয় হয়েছে ৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় সেবা থেকে আয় হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা এবং রপ্তানি সেবা থেকে আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছিল ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আলোচিত বছরে কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৬৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.৩৬ টাকা।
এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৮.৮০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৬.১৩ টাকা। শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩.৪০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৭১ টাকা।
কোম্পানির প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে টার্নওভারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে আমরা টেকনোলজিস এবং ইনফর্মেশন টেকনলোজি কনসালটেন্টস।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।
Leave a Reply