বিডিপি নিউজ ::
বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণ ফোন, রবি, ইউনিলিভারসহ অন্তত ১০টি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে আটকে আছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব।
এনবিআরের করা শতাধিক মামলায় উচ্চ আদালত এবং আপিলাত ট্রাইব্যুনালে আটকে আছে মোটা অঙ্কের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বকেয়া ও মামলার অবসান না হলে তা নতুন করে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শঙ্কা বাড়ায়। তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণণে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। বেশ কয়েকযুগ ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করা বহুজাতিক এই কোম্পানি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয় সবচেয়ে বেশি অর্থ।
শীর্ষ করদাতা হয়েও প্রায়ই অভিযোগ ওঠে ভ্যাট ফাঁকির। যা আদায়ে গেলো এক দশকে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট মামলা করেছে অন্তত ৩০টি। যেখানে জড়িত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। যদিও সরকারের এই হিসাব ও দাবির সাথে একমত নন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
ভ্যাট এলটিইউয়ের হিসাবে, বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর বাইরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির তালিকায় মোবাইল অপারেটর, ইউনিলিভারসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। যা সমাধানে উচ্চ আদালতে চলমান বিতর্কিত মামলা আছে দুই শতাধিক। যেখানে এককভাবে সবচেয়ে বেশি বকেয়া গ্রামীণ ফোনের, প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রবি, বাংলালিংক এবং বাটার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করার।
সবমিলিয়ে উচ্চ আদালতে বিতর্কিত এমন দুই শতাধিক মামলায় রাজস্ব ঝুলে আছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর জানায়, বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের এমন বিরোধ মেটাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর পদ্ধতি চালু থাকলেও ভ্যাট সংক্রান্ত এমন মামলার মিমাংসা করতে এগিয়ে আসেনি বড় করদাতা প্রতিষ্ঠানের কেউই। বরং তা আটকে রেখেছেন আদালতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন বিরোধ কাম্য নয়। এতে কেবল রাজস্ব ঘাটতি নয়, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী বকেয়া ও মামলার অবসান না হলে দুশ্চিন্তায় থাকেন নতুন বিনিয়োগকারীরাও।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলছেন, করদাতা এবং গ্রহীতার এই বিরোধ অপ্রত্যাশিত। যা সমাধানে নেয়া হচ্ছে কার্যকর পদক্ষেপ। উচ্চ আদালত ছাড়াও ১ হাজার দুইশত ৮৩ কোটি টাকা বকেয়া আদায়েও মামলা চলছে আপিলাত ট্রাইব্যুনালে।
Leave a Reply