স্টাফ রিপোর্টার, বিডিপি নিউজ।।
কুমিল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার গুলশান -২ এর ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নং বাড়ি থেকে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুনিয়ার সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। আনভীরই ফ্ল্যাটটি এক লাখ বারো হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া করেছিলেন। সেখানে মুনিয়া থাকতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজ, পুলিশের এফআইআর এবং ভিকটিমের পরিবারের বক্তব্যে পরিষ্কার যে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরই এই ঘটনার মূল নায়ক।
দীর্ঘদিন তার অনাচার অবৈধ কাজ আর ক্ষমতা ও অর্থের দাপটের কাছে কত মানুষ যে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে তার শেষ নেই। মুনিয়া তার হিংস্রতার সর্বশেষ শিকার।
ঘটনার বিবরণে দেখা যায়, ২৩ এপ্রিল ওই ফ্ল্যাটটিতে একটি ইফতার পার্টি ছিলো। সেখানে সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন তার বান্ধবী মুনিয়া। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরী হয়। আনভীর এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটির বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ আনেন। মেয়েটি এতে অপমানিত হন। দুজনের কথোপকথনের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায় মেয়েটি কাঁদছেন। কেঁদে কেঁদে বলছেন আপনি এখন আমাকে বাদ দেয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন। তানভীর তাকে অকথ্য গালিগালাজ করছেন।
মুনিয়ার দুলাভাই মিজানুর রহমান বলেছেন এটি আত্মহত্যা নয়। হত্যাকান্ড। বোনের সাথে সে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছে।
তার ঝুলন্ত লাশের পায়ের নিচে চেয়ার ছিলো স্বাভাবিক।
দেশে এখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির সরকার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী চলছে।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এভাবে জীবন দেবেন – দুর্বৃত্তের লালসার শিকার হবেন- আমরা আর কত চেয়ে চেয়ে দেখবো? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছে কোটি কোটি মানুষ। মানবতার নেত্রী, জননেত্রীর হস্তক্ষেপই এই অনাচার রুখে দিতে পারে। বিচার হতে পারে পাষন্ডদের।
মুনিয়া কি বসুন্ধরার এমডির পরিকল্পিত হত্যার শিকার?

Leave a Reply