মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একটি বেকারি, তিনটি কনফেকশনারী, একটি ফার্মেসি ও একটি সোনার দোকানসহ ৬টি দোকানঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, ওই বাজারের ব্যবসায়ী বেকারী ও দুইটি কনফেকশনারী সত্ত্বাধীকারী জহিরুল ইসলাম, ফার্মেসি ব্যবসায়ী ডা. সেলিম, সফিকুল ইসলাম ও ফারুকের কনফেকশনারী এবং সোনার ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, এদিন রাতে হঠাৎ করে বেকারী ও দোকানঘরগুলোতে আগুন জ্বলতে দেখে এলাকাবাসী হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের সদস্যরা স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর মধ্যে আগুনে একটি বেকারী, তিনটি কনেফকশনারী, একটি ফার্মেসী ও একটি সোনার দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে দোকানঘর, দোকানে থাকা মালামাল, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানঘরে সাথে থাকা অন্য দোকানঘরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জহিরুল ইসলামের বেকারী থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে এই আগুনের সূত্রপাত। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আগুনের ভয়াবহতা কারণে, দোকানের ধারে-কাছেও কেউ যেতে পারেনি। যার ফলে আগুন নেভানোর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশান অফিসার মো. সাজেদুল করিম যোয়ারধার জানান, রাত ২টা ২০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। পরে শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিস আমাদের সাথে যোগ দেয় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হই।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, আগুনের বিষয়টা জেনেছি। ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা পরবর্তীতে।
Leave a Reply