মোবারক হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং রশিদাবাদ ইউনিয়নের লতিফ পুর গ্ৰামের সাবের উদ্দিনের ছেলে আবু কালাম (স্বপন পাগলা)। স্বপন পাগলা নামেই এলাকায় বেশ পরিচিত। বয়স ৫৫ পেশায় একজন রিক্সাচালক। তার সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে আছে। বছরের অর্ধেক সময় আট-দশজনের মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করে থাকে। রিক্সায় চালিয়ে পরিবারের জীবিকা উপার্জন করে থাকে।
আর বছরের বাকি অর্ধেক সময় পুরো উন্মাদ পাগল হয়ে যায়। শীত কালে স্বপন পাগলার পাগলামির মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় চলছে প্রায় ২০ বছর ধরে।
লক্ষনীয় বিষয় হলো, স্বপন পাগলার পাগলামি অন্যান্য পাগলদের মতো না, কিছুটা রহস্যময়।তার মুখ থেকে কখনো গালিগালাজ বা অশ্লীল ভাষা শুনা যায়নি। ছেরা কাপড় পড়ে রাস্তা দিয়ে প্রচন্ড উচ্চ স্বরে ‘আল্লাহ”আল্লাহ’ নামের জিকির করে দূর দূরান্তে ছুটে চলে। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় পাশে কোন কবর দেখলে প্রথমে উচ্চ স্বরে সালাম দিয়ে দুহাত তুলে কবর জিয়ারত করে থাকে।
মাঝে মাঝে গোরস্থানে রাত্রি যাপন করে থাকে। রাস্তা দিয়ে চলার সময় যে কোন মানুষ দেখলে উচ্চ স্বরে সালাম দিয়ে থাকে।
স্বপন পাগলার সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় হলো, কুকুর নিয়ে খেলা বা কুকুরের সাথে পাগলামি। যত তেজি বা পাগলা কুকুর হউক না কেন স্বপন পাগলার বশে এসে যায়। কুকুর কে ধরে পুরো হাত কুকুরের মুখে প্রবেশ করিয়ে দেয় তবুও কামড় দেয় না। বরং স্বপন পাগলা কুকুরের শরীরে ও মুখে উল্টো কামড় দিয়ে থাকে। এভাবে চলছে স্বপন পাগলার কুকুরের সাথে পাগলামির প্রায় ২০টি বছর।
প্রতিবেশী এমদাদুল হক পিয়াস বিডিপি নিউজ কে জানান, স্বপন পাগলা সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় হলো, কুকুরের সাথে ভয়ংকর পাগলামি। কুকুরের সাথে এমন পাগলামি হয়তো তার প্রিয় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
শীত কালে স্বপন পাগলার পাগলামির মাত্রা বেড়ে যায়।
প্রতিবেশী সোহেল রানা বিডিপি নিউজ কে জানান, স্বপন পাগলা সত্যি এক রহস্য মানব। একজন সাধারণ মানুষ কে কুকুর কামড় দিলে পাঁচ থেকে সাত টি ইনজেকশন দিতে হয়। আর স্বপন পাগলা উল্টো কুকুরের শরীরে ও মুখে কামড় দিয়ে থাকে।অথচ কোন ভাইরাস স্বপন পাগলার শরীরের প্রবেশ করে না। এটা নিশ্চয় রহস্যময়।
Leave a Reply