মোঃ রাকিব হাসান,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ মানেই যেমন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তেমনি মডেলিং, ডিজাইনার, উপস্থাপনা সহ মিডিয়া জগতের নাম নিলেই এখন চলে আসে ইভা সোহানার নামটি। কালের পরিক্রমায় দিন দিন তার পথ চলা এগিয়ে যাচ্ছে দারুণ গতিতে। দেশকে নিয়েও কম ভাবেন না। নামাজ রোজা পালন করে থাকেন ঠিক ঠাক। পুরো এক মাস সিয়াম সাধনার পরে এসে গেছে খুশির ঈদ আর এই ঈদ নিয়েই তার সাথে মজার আলোচনার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য।
আপনার কাজের কি অবস্থা একটু বলুন?
সোহানা ইভাঃ এই তো ঈদকে সামনে রেখে অনেক বেস্ত এমনই অনেক বেস্ততার মধ্যে দিন কাটে দুই দিন ধরে শুটিং করেছি একটা প্রোগ্রামের জন্য। কী করবো, কীভাবে করবো—এগুলো নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। তবে শুটিং শেষে বাড়ি ফেরার পর বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে নিজেকে। সাধারণত পড়ন্ত বেলায় ছোট পর্দার দিকে ঝোঁকেন চিত্রাভিনয়শিল্পীরা। কিন্তু আমি এর ঘোর বিরোধিতা করি। আমি মনে করি ‘আমার মনে হয়, শিল্পকে কোনো মাধ্যমে বেঁধে রাখা ঠিক নয়।
উপস্থাপনা,ডিজাইন নিয়ে পরিবারের ঐতিহ্য নিয়েও বললেন সোহানা ইভা। তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো খানদানের রক্তে শিল্পের ছোয়া বইছে। আমাদের পরিবারে প্রত্যেকের জীবনে সফলতার পিছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা আমার মায়ের বলতে পারেন রত্নগর্ভ মায়ের সন্তান আমরা।এটাই আমাদের পরিবারের সৌন্দর্য। আমার মা-বাবা দুজনেই ছিলেন খুবই পরিশ্রমী ছোট বেলায় ঈদের আনন্দের সঙ্গে আসলে এখন আর মিলাতে পারিনা। অনেক মিছ করি বাবা মাকে বলতে বলতেই চোখের কোনে অশ্রু চলে আসলো তার।
ঈদের দিনের বেস্ততা সম্পর্কে বলুন?
ঈদের দিন তো অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে আগে আমি সবার জন্যে নিজের হাতে রান্না করবো। তারপর একে একে চলে আসলে আপ্যায়ন করবো সবাইকে। আমি এতে খুব আনন্দ পাই। বিকেলে বন্ধু, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাবো ব্যাস।
আপনার পছন্দের রান্না গুলো বলুন?
সব কিছুই পছন্দ কোনটা রেখে কোনটা বলি আসলে ঈদের দিনে তো একটু পোলাও, গরুর মাংসের ওপরই সবার নজর থাকে হা হা হা মানে পছন্দ করে সবাই তাই ভাবছি এমন কিছুই রান্না করবো।
ছোট বেলার ঈদের দিন গুলো বা কোন মজার ঘটনা বলুন?
ছোট বেলায় অনেক মজা হতো ঈদের দিন অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোছল করে নতুন জামাকাপড় পড়তাম। আসলে নতুন জামার ঘ্রাণই ঈদে মনকে ভরিয়ে তুলে। তারপর বাবা ঈদের নামাজ শেষ করে আসলে আমরা ভাই বোনেরা বাবার সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ঈদের সেলামী নিতাম সেটা ছিলো অনেক মজার একটা ব্যাপার। অহ আরও একটা কথা আমি আমার বড় ভাইকে অনেক ভালোবাসতাম এখনও বাসি একদিন ছোট বেলায় আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম এমন সময় আমার বড় ভাই এবং তার বন্ধুরা রাস্তায় দারিয়ে ছিলো আমি দেখে এমন চিৎকার করে ভাইয়াকে ডাকতে লাগলাম আইয়া আইয়া। আমি ছোট বেলায় ভাইয়াকে আইয়া বলেই ডাকতাম ভাবলে এখন হাসি পায়। আমার ভাই বোনেরা এখন সবাই প্রবাসী। বড় ভাই চিকিৎসক আমেরিকা প্রবাসী। ডাঃ নাদিম আহমেদ।
ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু বলুন?
আসলে আমি প্লান করে কিছু করতে পারিনা বেস্ততার কারনে তাই যা করি হুট করেই করে থাকি। তাই আগেই কিছু বলতে পারছি না। দেখা যাক দর্শকের ভালোবাসা নিয়ে কতোদূর আগানো যায় এখন তো অনেক কম্পিটিশন।
আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিতে চাচ্ছি ভালো থাকবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন আর পাঠকদের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা সার্বিকভাবে সাফল্য দেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করি। আমার জন্যে সবাই দোয়া করবেন। আমি যেনো ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে পারি
Leave a Reply